বাফুফে
একটা সময় যে মালদ্বীপকে পাত্তায় দিত না বাংলাদেশ, সেই দলটার বিপক্ষে এখন জিততেই পারে না লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) তাদের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ও শেষ প্রীতি ম্যাচে শনিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় একই ভেন্যুতে মালদ্বীপের মুখোমুখি হবে স্বাগতিকরা।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত খেলা সাত ম্যাচের ৬টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। সবশেষ গত বুধবার মালদ্বীপের বাজেভাবে হেরেছে তপু-মোরসালিনরা। মালদ্বীপের বিপক্ষে ঘরের মাঠে এটিই বাংলাদেশের প্রথম হার। প্রথম ম্যাচের হার যে দলকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে, তা সোহেলের কথায় স্পষ্ট। ‘প্রথম ম্যাচ খেলার পর (বৃহস্পতিবার) আমাদের হোটেলে রিকভারি সেশন ছিল। সবাই ভালোভাবে রিকভারি করতে পেরেছি। অল্প সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে হবে।’
‘আসলে দেখেন প্রথম ম্যাচ আমরা প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ই চাচ্ছিলাম, আমরা যেভাবে খেলেছি, জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল। আমরা অনেক সুযোগ তৈরি করেছিলাম, কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। এখন আমরা দ্বিতীয় ম্যাচে মনোযোগ দিচ্ছি। যেভাবে প্রথম ম্যাচ খেলেছি, আমরা দ্বিতীয় ম্যাচে আরও ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াব। এই আত্মবিশ্বাস সব খেলোয়াড়ের আছে যে, আমরা খুব শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াব।’
চলতি বছরে বাংলাদেশ গোল করেছে কেবল একটি। গত সেপ্টেম্বরে ভুটানের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জেতা প্রীতি ম্যাচে গোলটি করেন শেখ মোরসালিন। মালদ্বীপের বিপক্ষে গত বুধবার অবশ্য দ্যুতি ছড়াতে পারেননি এই তরুণ ফরোয়ার্ড।
গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন সোহেলও, কিন্তু কপাল মন্দ তার। প্রথমার্ধের শেষ দিকে এই মিডফিল্ডারের জোরালো শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। সোহেলের চাওয়া, এবার যেন গোলের জন্য চেষ্টা করে সবাই।
‘আমি শুধু ফরোওয়ার্ডদেরকেই বলবো না, প্রত্যেক খেলোয়াড়ের দায়িত্ব গোল করা। যে সুযোগ পাবে, যার সামনে সুযোগ আসবে, সে যেন সুযোগটা কাজে লাগায়। আমি মনে করি, যে কেউ গোল করতে পারে দলের জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রথম ম্যাচে অনেক ভালো খেলেছি, কিন্তু দিন শেষে হেরে গিয়েছি। তো এ কারণে সবাই ভালো খেলাটাকে মূল্যায়ন করবে না। আমরা চাইব কালকের ম্যাচটা জিততে এবং সেই সামর্থ্য আমাদের আছে।’