ছবি:সংগৃহীত
স্পেন ফুটবলের সময়টা যে বেশ ভালোই যাচ্ছে, তা তাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। এইতো, কদিন আগেই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে স্পেন। এবার ফ্রান্সকে হারিয়ে প্যারিস অলিম্পিক ফুটবলের সোনা জিতলো তারা। পার্ক দ্য প্রিন্সেসে ফ্রান্সকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে ১৯৯২ সালের পর অলিম্পিক ফুটবলে সোনা জিতলো স্পেন।
পার্ক দ্য প্রিন্সেসের গ্যালারি কানায় কানায় ভর্তি। জমজমাট একটা লড়াই দেখায় আশায় গোটা ফুটবল দুনিয়া। হলোও তাই, লড়াইটা হলো বেশ জমজমাট। নির্ধারিত সময়ে দুই দলই সমানে সমান। তাই খেলা গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে। আর সেই অতিরিক্ত সময়ে সের্হিও কামেয়োর জোড়া গোলে ৫-৩ গোলের জয় পায় স্প্যানিশরা।
শুরুতেই স্বাগতিকদের চমক। ম্যাচের ১১ মিনিটেই ভুল করে বসেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। সেই ভুলের মাশুলও গুণতে হলো তাদের। ফ্রান্সকে প্রথম লিড এনে দিলেন এনজো মিলট। তবে ম্যাচে ফিরতে খুব বেশি সময় নেয়নি স্প্যানিশরা। গোল হজম করার ঠিক ৭ মিনিট পরেই সমতায় ফেরে তারা। ফারমিন লোপেজের গোলে স্কোরলাইন তখন ১-১।
দলের ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠে স্পেন। ২৫ মিনিটেই স্কোরলাইন ২-১ করেন লোপেজ। তার ঠিক ৩ মিনিট পরেই আরও একটি গোল করে তারা। এবার স্কোরশিটে নাম লেখান অ্যালেক্স বায়েনা। ফ্রি-কিক থেকে দারুণ এক গোল করেন এই মিডফিল্ডার। ৩-১ গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে স্পেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ করতে থাকেন ফরাসিরা। শেষ পর্যন্ত ৭৯ মিনিটে ফল পায় স্বাগতিকরা। মাগনেস আকলিওচের গোলে ব্যবধান তখন ৩-২। এরপর ম্যাচের যোগ করা সময়ে পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। স্পটকিক থেকে সমতায় ফেরার সুযোগটি মিস করেননি জেন ফিলিপি মাতেতা।
৩-৩ গোলের সমতায় শেষ হয় নির্ধারিত ৯০ মিনিট। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেই অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচের চিত্রপট পাল্টে দেন বদলি হিসেবে নামা সের্হিও কামেয়ো। জোড়া গোল করে দলকে এনে দেন সোনা জয়ের স্বাদ।
১০০ মিনিটে আদ্রিয়ান বের্নারের থ্রু বল ধরে ডান পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন স্প্যানিশ এই ফরোয়ার্ড। ১২০ মিনিট শেষে যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দারুণ শটে দ্বিতীয়বারের মতো স্কোরশিটে নাম লেখান তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫-৩ গোলের জয় পায় স্পেন।
৩২ বছর আগে ১৯৯২ সালে একবার অলিম্পিক ফুটবলে সোনা জিতেছিল স্পেন। এবার দ্বিতীয়বারের মতো অলিম্পিকে সোনা জিতলো স্পেন ফুটবল দল।