ছবি:সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ফিটনেস বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘হুপ’ এর জন্য এবার উয়েফার শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি নেয়ার সময় রোনালদোর শরীরে লাগানো ফিটনেস ট্র্যাকারের মাধ্যমে তার হৃদস্পন্দন পরিমাপ করা হয়। পরে ঐ ছবি পোস্টও করে প্রতিষ্ঠানটি। আর বিষয়টি উয়েফার নিয়ম বহির্ভূত হওয়ায় এবার শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে পর্তুগিজ তারকাকে।
বয়সটা ৩৯। খেলছেন ক্যারিয়ারের শেষ ইউরো। তবে এখনও তাকে নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রোমোশনের জন্য সিআরসেভেনের চেয়ে ভালো উপায় কয়টাই বা আছে!
তবে ফুটবল মাঠে সময় খুব একটা ভালো কাটছে না। স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করে খলনায়ক বনে গিয়েছিলেন রোনালদো। শেষ পর্যন্ত গোলরক্ষক দিওগো কস্তার সুবাদে রক্ষা পেলেও পেনাল্টি মিসের সে ঘটনা নিয়ে এবার তৈরি হয়েছে জটিলতা।
স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি শট নেয়ার সময় রোনালদোর হৃদস্পন্দন কেমন ছিল, তা ম্যাচ শেষে জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ফিটনেস বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘হুপ’। পর্তুগিজ তারকার শরীরে লাগানো ট্র্যাকারের মাধ্যমে রেইটটা জানতে পেরেছে তারা। আর এতেই আপত্তি জানিয়েছে উয়েফা। গুঞ্জন উঠেছে, নিয়ম বহির্ভূত কাজ করায় তাকে এবার শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
প্রতিষ্ঠানটি তাদের পেইজে একটা পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ করে। সেখানে পেনাল্টি নেয়ার সময় রোনালদোর হার্ট বিটের ছবি প্রকাশ করা হয়। আর সঙ্গে সঙ্গেই সে ছবি ভাইরাল হয়। পেনাল্টির সময় রোনালদোর হৃদস্পন্দন নাকি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম ছিল। পর্তুগিজ তারকার স্পন্দন ছিল প্রতি মিনিটে ১০০ এর আশেপাশে। সেই স্পন্দন পরে ব্রুনো ফার্নান্দেজের শট নেয়ার সময় ১২৫ বিপিএম হয়েছিল। আর ম্যাচ জয়ী শট নেয়া সিলভার সময় ১৮০ বিপিএম উঠেছিল।
রোনালদোর শারীরিক অবস্থার তথ্যটি পাওয়া যায় হুপের তৈরি করা ৪ দশমিক ০ মডেলের ফিটনেস ট্র্যাকার যন্ত্রের সহায়তায়। আর তাতেই সমালোচনার ঝড় বইছে পুরো সোশ্যাল মিডিয়ায়। নিজেদের পণ্যের প্রচারণা করতেই ইউরোর মতো টুর্নামেন্টকে ব্যবহার করেছে হুপ, এমনটাই মনে করছেন ভিসা এবং কোকা কোলার গ্লোবাল স্পন্সরশিপের সাবেক প্রধান রিকার্দো ফোর্ট। শাস্তি হিসেবে রোনালদো এবং প্রতিষ্ঠানের জরিমানার দাবি তুলেছেন তিনি। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় সে ছবিটি শেয়ার করে এটা বেআইনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া পর্তুগিজ মহাতারকা এবং প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করার জন্য উয়েফাকে আহ্ববান জানান।
এর আগেও এমন কাজ করে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছিল ফুটবলারদের। নিকলাস বেন্ডটনার ২০১২ ইউরোতে গোল করার পর উদ্যাপনের সময় জার্সি তুলে একটি ব্রান্ডের প্রচারণা করেছিলেন। পরে তাকে মোটা অংকের অর্থ জরিমানা করে উয়েফা। সঙ্গে এক ম্যাচ নিষিদ্ধও হয়েছিলেন তিনি। এবার রোনালদোও একই রকম শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। এখন দেখার বিষয় রোনালদোর ঘটনাটি তদন্ত করে উয়েফার পক্ষ থেকে কী শাস্তি আসে। তবে এখনো বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেনি কোনো পক্ষ।