ছবি:সংগৃহীত
প্রিমিয়ার লিগের দল লেস্টার সিটির হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশ ফুটবল দলের হয়ে খেলাটা সময়ের ব্যাপার। চলতি বছরেই তাকে লাল সবুজের জার্সি গায়ে মাঠে নামতে দেখা যেতে পারে। ইংলিশ ফুটবল মাতানো তারকার বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলাটা নিঃসন্দেহে দারুণ ব্যাপার। হামজার আগে জামাল ভূঁইয়া, তারিক কাজীরাও আবাসভূমি ছেড়ে ছুটে এসেছেন মাতৃভূমির হয়ে খেলার আহ্বানে। তবে এর বিপরীত দিকও আছে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বেশ কয়েকজন ফুটবলার তাদের আবাসভূমির হয়ে মাঠে নামার অপেক্ষায় আছেন।
২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব ও এশিয়ান কাপ ২০২৭ এর যৌথ বাছাই পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষ দুই ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে বর্তমান এশিয়া চ্যাম্পিয়ন কাতার। এরই মধ্যে তৃতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় এই দুই ম্যাচের জন্য দলের প্রধান খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়েছেন কোচ মারকুয়েজ লোপেজ। ২০২৩ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন দলের আকরাম আফিফ, আলমোয়েজ আলিদের তাই আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে দেখা যাবে না।
জুনের ফিফা উইন্ডোতে আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য বেশ কয়েকজন তরুণকে জায়গা দিয়ে ২৯ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে কাতার। যে দলে ডাক পেয়েছেন অ্যাস্পায়ার একাডেমি থেকে বেড়ে ওঠা তরুণ নাবিল ইরফান। কাতারের স্টারস লিগের দল আল ওয়াকরাহর এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার জন্মসূত্রে বাংলাদেশি।
ট্রান্সফার মার্কেটের তথ্য অনুযায়ী নাবিল ইরফানের জন্ম ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে। নাবিলের বাংলাদেশি বাবা-মা চাকরিসূত্রে কাতারে বসবাস করলেও তাদের পৈতৃক বাড়ি বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। নাবিলের লেখাপড়ার হাতেখড়ি বাংলাদেশি দূতাবাস পরিচালিত বাংলাদেশ এমএইচএম স্কুলে।
ফুটবলীয় দক্ষতার কারণে কাতারের বিখ্যাত অ্যাস্পায়ার একাডেমিতে সুযোগ পেয়ে যান নাবিল। এই একাডেমি থেকেই কাতারের বেশিরভাগ তরুণ ফুটবলার উঠে আসে। দেশটির সর্বোচ্চ প্রতিভাবান তরুণ ফুটবলাররাই এই একাডেমিতে সুযোগ পয়ে থাকেন।
১৫ বছর বয়সে কাতারের অনূর্ধ্ব ১৬ দলে জায়গা করে নেন নাবিল। ২০১৯ সালে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের ম্যাচে কাতারের জার্সিতে তিনটি ম্যাচেই পুরো ৯০মিনিট করে খেলেন তিনি। সেই আসরেই মাতৃভূমি বাংলাদেশের বিপক্ষেও খেলেছিলেন নাবিল।