তত্বাবধায়ক ছাড়া বিএনপি আর এ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে যাবে না বলেছে জনগণের সামনে। কিন্তু পাঁচ সিটি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ভিতরে দ্বিধাদন্দ চলছে। প্রশ্ন পাঁচ সিটি নির্বাচন জাতীয় ভাবে কোন ভূমিকা রাখতে পারে? না এ বারে তা পারবে না। বিএনপি যদি তত্বাবধায়ক সরকার বা নির্বাচনকালীন সরকারে অটল থাকে তবে কোন প্রভাব ফেলবে না। সিটি নির্বাচন যদি আ.লীগ সব কটিতেও জিতে আসে তবুও কোন লাভ হবে না। বরং প্রমান হবে এক চেটিয়া ভোট। দুই আ.লীগের ওয়ার্ড কমিশনার থেকে শুরু করে সিটি মেয়র পর্যন্ত দ্বন্দ্ব নির্বাচনী মাঠে এ দ্বন্দ্বের খেলাটা আরো পরিষ্কার হবে। এবং এর প্রতিক্রিয়া জাতীয় নির্বাচনে ও দেখা যাবে। যদি তত্বাবধায়ক সরকার বা নির্বাচনকালীন সরকারে দাবিতে বিএনপি অনড় তাকে তবে পাঁচ সিটিতে নির্বাচিত অ.লীগের কমিশনার থেকে মেয়রেরা দৌড়ের উপর থাকবে। কারণ অবৈধ উপার্যন।
বিএনপি ভাবছে পাঁচ সিটি হাত ছাড়া হয়ে যাবে নেতাকর্মীরা হতাশ হবে। মোটেও না। হতাশ তারা হবে যারা প্রার্থী বাণিজ্যে হাত কচলাচ্ছে তারা। এমনকি বিএনপির উচ্চপর্যায়ে যারা পদ বাণিজ্য করেছে এবং পাঁচ সিটিতে প্রার্থী বাণিজ্যে করার খায়েশ করছে তারাই পাঁচ সিটি নির্বাচনে অংশ গ্রহনের পক্ষে মত দিচ্ছে। সেটা বোরকা পরে বা ঘোমটা দিয়ে হোক। অর্থাৎ সম্ভব্য প্রার্থী নিজে বা নিকট আত্মীয়কে প্রার্থী করে অন্য মার্কা নিয়ে। একই অবস্থা কমিশনার বা কাউন্সিলার প্রার্থী দের ক্ষেত্রেও। পাঁচ সিটি নির্বাচনে আ.লীগ যদি হেরেও যায় তাহলে কি আন্দোলন ছাড়া সরকার ক্ষমতা ছেড়ে দেবে? ধরে নিলাম বিএনপি লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে নির্বাচনে গেল এবং বিজয়ী হলো তো তাতে কি জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে? আন্দোলন ছাড়া কোন তন্ত্রেমন্ত্রে ফুঁফাঁতে এ সরকারের কিছু আসবে যাবে না। জানুয়ারীতে হিসাব করে বলেছিলাম বিএনপির আন্দোলন গুড়ে বালি। রমজান-ঈদ ,ঈদের পর পাঁচ সিটি নির্বাচন, এর পর কোরবানীর ঈদ তার পর এসএসসি ও এইচ এসসি পরীক্ষা। তারপর তো জাতীয় নির্বাচনের হাওয়া। বাতাসে টাকা উড়বে টাকা ধরার প্রতিযোগীতায় ব্যস্ত হয়ে পড়বে। আর আন্দোলনের সময় কই? পাঁচ সিটি নির্বাচনে বিএনপি ছদ্দাবেশে যাক আর সরাসরি যাক এটা বিএনপির জন্য অনেক বড় পরাজয় বয়ে আনবে। যা সাধারণ নেতা কর্মীদের উপর মানসিক প্রভাব পড়বে। তা ছাড়া সাধারণ বিএনপি সমর্থকরা এ সিদ্ধান্ত মেনে নিবে না।
যদি ১/১১ এর কথা মনে থাকে তবে দূতাবাস গুলোর নাচন কুদন নিশ্চয়ই মনে থাকার কথা। এরা কাকে কি কান পড়া দিচ্ছে আল্লাহই ভালো জানেন। এদের বিশ্বাস করাটা ঠিক হবে না যতক্ষন না নেতাকর্মী রাস্তায় না নামবে।
রমজানের মধ্যে দেশের প্রতিটি উপজেলা জেলায় এমনকি ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীদের পেন্ডিং মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে এবং হচ্ছে। পাঁচ সিটি নির্বাচনেও এ গ্রেফতার চলতে থাকবে। এরা মামলা নিয়ে দৌড়াবে না আন্দোলনে শামিল হবে? বিএনপির উচিত হবে কোন দিকে না তাকিয়ে একদফার আন্দোলনে বেগবান হওয়া। কেন্দ্রীয় যে সব নেতা পাঁচ সিটি নির্বাচনে যাওয়ার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে তাদের চিঠি ধরিয়ে দেয়া। এ চিঠিতে বাকিরাও সোজা হয়ে যাবে।