নিজস্ব ছবি
নওগাঁর রাণীনগরের আবাদপুকুর কলেজের অধ্যক্ষকে পেটানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোসারব হোসেন। মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোসারব হোসেন বলেন, গত ২৬ অক্টোবর রাণীনগর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে আবাদপুকুর কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক নবাব ভোটার না হয়েও অন্য একজন ব্যক্তির নামের সঙ্গে মিল থাকায় সে জাল ভোট দিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে কেন্দ্র ত্যাগ করেন। পরদিন আমি পারইল ইউনিয়নের একজন অসুস্থ বিএনপির কর্মীর সঙ্গে দেখা করতে এবং নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফেরার পথে সিলমাদার নামক স্থানে আমার সঙ্গে অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক নবাবের দেখা হয়। আমি গাড়ি থামিয়ে ভেতর থেকে গ্লাস খুলে তাকে সালাম দেই এবং কুশল বিনিময় করি। কথা প্রসঙ্গে জাল ভোট দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বলতে গেলে তিনি আমার উপর রাগান্বিত হয়।
তিনি বলেন, আমি শুধুমাত্র তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম ভাই আপনি একজন উচ্চ শিক্ষিত মানুষ হয়ে গতকালকের জাল ভোট দেওয়াটা কি আপনার উচিত হয়েছে? এর বাইরে তার সঙ্গে আর কোন কথা হয়নি আমার ও কর্মীদের। সেখানে কোন ধরনের মারপিট বা তাকে কোন প্রকার অপমান করা হয়নি। এই ছিল প্রকৃত ঘটনা। কিন্তু পরে তাকে মারপিটের অভিযোগ উঠে আমার বিরুদ্ধে কয়েকটি অনলাইন ও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়।
বিএনপি নেতা মোসারব হোসেন আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ অসত্য এবং বানোয়াট। উদ্দেশ্য প্রণীতভাবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনের সময় রাণীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এছাহক আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাউল হক লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, পারইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এচাহক সরদার উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রবিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার আবাদপুকুর-আদমদিঘী সড়কের ভেটি-সিলমাদার নামক স্থানে আবাদপুকুর কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মালেককে দলীয় নেতাকর্মীদের সামনে রাস্তায় প্রকাশ্যে পেটানোর অভিযোগ উঠলে কয়েকটি অনলাইন ও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়।