মতিবুল মণ্ডল
নওগাঁ কারাগারে বন্দি বিএনপির এক নেতার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
মারা যাওয়া ওই নেতার নাম মতিবুল মণ্ডল (৫৫)। তিনি জেলার পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। একটি নাশকতার মামলায় গত ২৭ নভেম্বর থেকে নওগাঁ কারাগারে ছিলেন তিনি।
নওগাঁ কারাগারের জেল সুপার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পত্নীতলা থানার একটি মামলায় মতিবুল মণ্ডল গত ২৭ নভেম্বর কারাগারে আসেন। তিনি মারপিট ও বিস্ফোরক মামলার আসামি ছিলেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় গত ১৪ ডিসেম্বর হঠাৎ করে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে কারাগার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই কয়েক দিন ধরে তার চিকিৎসা চলছিল। বুধবার সকালে অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৮টা ৫৬ মিনিটে মারা যান।
তিনি আরও বলেন, মতিবুল মণ্ডল আরটিআই (শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ), হার্টের সমস্যাসহ তিন-চারটি জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়েই তিনি মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর দুপুর আড়াইটার দিকে তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মতিবুলের ছেলে আব্দুস সালাম বলেন, গত ২৬ নভেম্বর আমার বাবাকে নজিপুর পৌরসভার পুরাতন বাজার এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বুধবার সকাল ৮টার দিকে কারাগার থেকে ফোন করে আমাকে জানানো হয় যে, তোমার পিতা মারা গেছেন। কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় কিভাবে মৃত্যু হলো তার সঠিক কারণ জানতে চাই।
মতিবুল মণ্ডলের প্রতিবেশী ও পত্নীতলা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহিন রহমান জানান, মতিবুল মণ্ডল নজিপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। গত ২৬ নভেম্বর পত্নীতলা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার মতিবুলের মতো কারাগারে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাদের সুচিকিৎসা নেওয়া হচ্ছে না। আমরা মতিবুলের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য তদন্ত দাবি করছি।