Banglar Chokh | বাংলার চোখ

তফসিল বাতিল না হলে গণজাগরণ গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হবে: গণতন্ত্র মঞ্চ

রাজনীতি

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২:১০, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

সর্বশেষ

তফসিল বাতিল না হলে গণজাগরণ গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হবে: গণতন্ত্র মঞ্চ

ছবি:সংগৃহীত

‘একতরফা’ নির্বাচনের তফসিল বাতিল না হলে ‘গণজাগরণ গণঅভ্যুত্থানের পরিণত হবে’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। বুধবার দুপুরে পল্টন মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এই হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি বলেন, সরকারকে বলছি, এখনো সময় আছে এই নির্বাচনী খেলা বন্ধ করুন। ইতিহাস থেকে কেউ কখনো শিক্ষা নেয় না। যদি সোজা পথে না হাঁটেন যেই জনগণ জেগে উঠেছে আপনারা ৭ তারিখ পর্যন্ত যেতে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে। মানুষ রাজপথে দাঁড়াবে, জেগে উঠবে, প্রতিবাদ করবে। প্রতিরোধের টেউ প্রতিদিন এখন শক্তিশালী হবে, গণজাগরণ গণঅভ্যুত্থানের একটি রাস্তা তৈরি করবে। গণতন্ত্র মঞ্চ রাজপথে আছে, রাজপথে আপনাদের সাথে নিয়ে বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত সেই লড়াইটা আমরা চালিয়ে যাবো।

সাইফুল হক বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অনতিবিলম্বে সরকারকে বলা দেশকে একটা বিপদের মধ্যে দিয়ে কোনোভাবে তারা যেতে পারেন না। আগামী নির্বাচনের পাঁয়তারা গোটা দেশকে, ১৭ কোটি মানুষকে বিপদের মধ্যে ফেলে দেয়, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হবে পরিষ্কার করে বলা, এই নির্বাচনের দায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নেওয়া সম্ভব না। সরকারকে আজকেই এই কথাটা পরিষ্কার করে বলে দেয়া দরকার। তারা (ইসি) কি করতে পারে একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে? তারা যেটা করতে পারেন এরকম একটা সংঘাত-সংঘর্ষের নির্বাচনের দায় না নিয়ে, দেশকে বিপদে ফেলার দায় না নিয়ে, দেশকে গৃহযুদ্ধের ঠেলে দেয়ার দায় না নিয়ে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দায়িত্ব থেকে তারা (ইসি) সরে যেতে পারে।

‘এক দফা তফসিল বাতিলসহ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে অষ্টম দফার ধারাবাহিক অবরোধ কর্মসূচি উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১১টায় বিজয় নগর-তোপখানা সড়কে মিছিল শেষে পল্টনে মোড়ে এই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, শেখ হাসিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা বের করলেন এতোই রাজনৈতিক প্রজ্ঞা নিজের দলের প্রার্থীদের বললেন, ডামি প্রার্থী দাঁড়াও, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হবে। আর সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী যারা হবে তারা বহিষ্কার সবাই হবে না। স্বতন্ত্র করে দেয়ার ব্যাপারে নাকি তারা সাহায্য করবেন। এই হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতার খবর। প্রতিদ্বন্দ্বিতা খুঁজে পাওয়া গেছে আওয়ামী লীগ ডামি প্রার্থী বানিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তামাশারও শেষ আছে। বাংলাদেশে আজকে মনে হয় তামাশার কোনো শেষ নাই। জনগণকে বলতে চাই, ১৬শ’ কোটি টাকা খরচ করে বাংলাদেশের বর্তমান-ভবিষ্যতকে হুমকির মধ্যে ফেলে এই যে তামাশা করা হচ্ছে এটা কেবল প্রত্যাখান নয়, এইরকম নির্বাচনে কোনো ভোট না দিয়ে একে প্রতিরোধ করে বাংলাদেশকে আজকে বাঁচাতে হবে। এই প্রত্যাখান ভোট বয়কট করে এই ভোটকে আমরা ভোটকে প্রতিরোধ করবো।

জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অধিকার পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, হাবিবুর রহমান রিজু, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সিরাজ মিয়া, নাগরিক ঐক্যের রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ইমরান নূর প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া গণফোরাম-পিপলস পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, জাতীয়তাবাদী সমমনা দল, ১২ দলীয় জোট, লেবার পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ প্রমুখ রাজনৈতিক জোট দলের নেতা-কর্মীরা বিজয় নগর, তোপখানা রোড় ও নয়া পল্টনের সড়কে মিছিল করে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়