ফাইল ছবি
পৃথক তিন নাশকতা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও দলের যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন পৃথক আদালত।
শাহজাহানপুর থানায় গত ২৯ অক্টোবর করা একটি নাশকতা মামলার শুনানি হয় ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে।
শুনানির সময় মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহি উদ্দিন চৌধুরী আদালতকে বলেন, রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তার মক্কেলকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
এছাড়া, মির্জা আব্বাস অসুস্থ এবং তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না বলেও উল্লেখ করে আইনজীবী তার জামিন প্রার্থনা করেন।
প্রসিকিউশন জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে বলে, মির্জা আব্বাস মামলার এজাহারনামীয় আসামি এবং মামলাটি এখন তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তাই জামিনের আবেদন খারিজ করা উচিত।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক বিলকিস আসামিপক্ষের জামিন নামঞ্জুর করে দেন।
মির্জা আব্বাসকে গত ৩১ অক্টোবর তার শাহজাহানপুরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরে তাকে এই মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
শাহজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুস্তাফিজুর রহমান মির্জা আব্বাসকে প্রধান আসামি করে এ মামলা করেন।
মামলায় বিএনপির ৪৯ জন সন্দেহভাজন এবং ৭০০-৮০০ অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এদিকে নিউমার্কেট থানায় গত ৪ নভেম্বর করা বাসে অগ্নিসংযোগ মামলায় বিএনপি নেতা শাহজাহান ওমরের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের।
শাহজাহান ওমরকে ৫ নভেম্বর উত্তরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে অগ্নিসংযোগ মামলায় চারদিনের রিমান্ডে নেয় ডিবি পুলিশ।
২৮ অক্টোবর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরে ভাঙচুর ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পুলিশের অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনায় পল্টন মডেল থানায় করা মামলায় বিএনপি নেতা আলালের জামিন আবেদন নাকচ করেন একই বিচারক।
গত ৩১ অক্টোবর শাহিনবাগ এলাকায় ঢাকা ব্যাংকের একটি শাখা থেকে আলালকে গ্রেপ্তার করে মামলায় চারদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
এছাড়া, গত ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা থানায় করা মামলায় আলতাফ হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তেহসিন ইফতেখার।
গত ৫ নভেম্বর আলতাফ টঙ্গী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।