ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী তালিকা প্রায় চূড়ান্ত। এখন শুধু প্রকাশের অপেক্ষা। রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলেই ঘোষণা করা হবে ৩০০ আসনের প্রার্থীদের নাম। নতুন ও পুরানো মিলিয়েই প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
প্রার্থী বাছাইয়ে মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকের শেষ দিন শনিবার (২৫ নভেম্বর) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জোটের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রয়োজন না হলে জোট নয়।
দলীয় সভাপতির কার্যালয়ে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মতবিনিময় করেন সাংগঠনিক আর নির্বাচনকেন্দ্রিক বিভিন্ন বিষয়ে।
পরে কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ইঙ্গিত দেন।
দলীয় মনোনয়নে এবার বাদ পড়তে পারেন পুরনো অনেক মুখ। তবে নতুন কিংবা পুরানো নৌকার টিকিটের জন্য যাকেই বেছে নেয়া হবে, প্রধান মাপকাঠি হবে জনসম্পৃক্ততা।
তবে জোটের বিষয়ে ক্ষমতাসীনরা এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানান দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। এমনকি জোটবদ্ধ ভোট না করার জল্পনাও উসকে দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, জোটের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। একটি জোটের বিপরীতে আরেকটি জোট হয়। সেক্ষেত্রে জোটের প্রয়োজন না পড়লে কেন জোট করতে যাব?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, নতুন-পুরানো মিলিয়ে গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকেই দেয়া হবে মনোনয়ন। আর রোববার (২৬ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে ৩০০ আসনের প্রার্থীদের নাম।
রোববার (২৬ নভেম্বর) সকালে গণভবনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। আর বিকেল সাড়ে ৪টায় মনোনয়নপ্রাপ্তদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে দলীয় একটি সূত্রও নিশ্চিত করেছে।
চলতি মাসের ১৫ তারিখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়নের আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ভোট হতে হবে। গত ১ নভেম্বর থেকে এবারের নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির। সে অনুসারে ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।