সারজিস আলম
নিজের পরিবারের কথা চিন্তা না করে শুধুমাত্র একটি নির্বাচনের জন্য দুই হাজার মানুষ জীবন দেয়নি। তেমনটি হলে বিগত ১৬ বছরে সব মানুষ একসাথে রাজপথে নেমে যেত বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
রোববার (১৭ নভেম্বর) রাতে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সারজিস।
তিনি বলেন, ‘এই মানুষগুলো একসাথে নেমেছে, যখন প্রত্যেকটি সিস্টেম ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এবং মানুষকে সব জায়গায় মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। সাধারণ মানুষের সেবা পেতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছিল। মানুষকে টাকা দিতে হতো, সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি ছিল, তখন এই সামগ্রিক সিস্টেমের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা একসাথে রাজপথে নেমেছে।’
১৬ বছরে যে সমাধানটি রাজনৈতিকভাবে হওয়ার কথা ছিল, যে খুনি হাসিনার পতন রাজনৈতিকভাবে হওয়ার কথা ছিল, তার পতন হয়েছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে,’ যোগ করেন সারজিস।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব পালন নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের জায়গা থেকে আমরা মনে করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তিন, চার বা পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার কথা বলছি না। আবার কেউ যদি বলে ছয় মাস, এর মতো অযৌক্তিক কোনো কথা হতে পারে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ১০০ দিনে যে প্রত্যাশা ছিল, তা পূরণ হয়নি। তবে রাজনৈতিক দলগুলো সহযোগিতা করলে এই সরকারের অবস্থান আরও ভাল হতো।
সারজিস আলম আরও বলেন, ‘বাজারে গেলে সাধারণ মানুষ চাহিদা মতো কেনাকাটা করতে পারে না। বাজার সিন্ডিকেটগুলোর হাত বদল হয়েছে।’
এসময় আবদুল হামিদ খান ভাসানীর দৌহিত্র মাহমুদুল হক সানু, সময়ন্বয়ক মো. মাহিম সরকার, টাঙ্গাইলের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আল আমিন, মো. কামরুল ইসলাম, আল আমিন সিয়াম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।