ছবি:সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী সরকার কর্তৃক দায়ের করা ষড়যন্ত্রমুলক সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে সৈয়দপুর পৌর বিএনপি ওই কর্মসূচি পালন করে।
ওইদিন রাতে শহরের শহীদ ডা.জিকরুল হক সড়কস্থ বিএনপি কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী রশিদুল হক সরকার ও সাধারণ সম্পাদক শেখ বাবলু'র,নেতৃত্বে বের হওয়া মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মামলা প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্ন শ্লোগান দেওয়া হয়। মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয় বিক্ষোভ সমাবেশ। এতে সভাপতিত্ব করেন পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী রশিদুল হক সরকার। পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ বাবলু 'র সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য বলেন, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার, সাধারণ সম্পাদক শাহীন আকতার শাহীন, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি শাহীন আক্তার, সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন হাবলু, বিএনপি নেতা মো. সাঈদ, শাহাবুদ্দিন বাদল প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ছাত্র জনতার গণআন্দোলনে পরাজিত হয়ে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহংকার দেশ নায়ক তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা দেখে ভয় পেতো। এজন্য গত ১৬ বছরের বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছিল। তারপরেও স্বৈরশাসক আওয়ামীলীগ ক্ষান্ত হয়নি। দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে খুন করে। ইলিয়াস আলীসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম করে। বক্তারা বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাজানো মামলায় বিনা চিকিৎসায় কারাবন্দি করে রেখেছিল। এছাড়া দেশ নায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও একের পর এক মিথ্যে মামলা দিয়ে ফরমায়েশি রায়ে দণ্ডাদেশ দেয়। তারা বলেন, অন্যায় করে কেউ পার পায়নি,আওয়ামী লীগও রেহাই পায়নি। জনরোষের কবলে পড়ে তাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছে। বক্তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে।
সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল দলের বিভিন্ন এলাকার কয়েকশত নেতাকর্মী অংশ নেন।