![ক্ষমতায় থাকতে দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিচ্ছে সরকার: মান্না ক্ষমতায় থাকতে দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিচ্ছে সরকার: মান্না](https://www.banglarchokh.com.bd/media/imgAll/2023July/220-2407041028.jpg)
ছবি:সংগৃহীত
সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে 'সাবেক বিরোধী দলীয় চিপ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক উপর পুলিশি হামলার ১৪ বছরেও বিচার না হওয়ায় দোষীদের বিচারের দাবিতে' এক মানববন্ধনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, আজ পত্রিকায় দেখলাম প্রধানমন্ত্রী বলেছেন-ভারতকে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কি? আরে আপনি তো ট্রানজিট দেননি, দিয়েছেন তো করিডোর । তাদের দেশ থেকে ট্রেন ঢুকবে, সেই ট্রেন আবার তাদের দেশে যাবে। সেখানে কি থাকবে আমরা জানি না।
সরকার কিছু-কিছু মানুষকে হঠাৎ করে সামনে আনেন বলে উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, খুব রসিকতা করে, হাসি ঠাট্টা করে তাকে সর্বোচ্চ দায়িত্ব দিয়ে দেন। আজকে রাষ্ট্রের প্রধান, ১ নাম্বার ব্যক্তি রসিকতা করতে-করতে খুনিদের মুক্তির সনদে স্বাক্ষর করে দেন। রসিকতা করতে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের আরও প্রমোশন দিয়ে দেন। এরা জালিম সরকার, প্রতারক সরকার।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন- তার সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। কিন্তু তিনি বেনজীর আহমেদ, আজিজ আহমেদ, মতিউরসহ তাদের প্রথম দেখেছেন? আজিজের ভাইদের তিনি প্রথম দেখেছেন? তাকে তিনি প্রমোশন দেননি, প্রশ্রয় দেননি আর আমাদের ডেপুটি স্পিকারের ছেলে ২০০ কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করলে পরিবার থেকে বলা হয়েছে-বেড়াতে গিয়েছে। এই ২শত কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকির মামলা কি আছে? এই নিয়ে কোনও মামলা হয়েছে কি? এই নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে নিউজও করেছে।
আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল বলেছেন-এরা কেউ আমাদের দলের কেউ নয়।
মান্না বলেন, পুলিশের একটি সিপাহি পদে চাকরি দিতে গেলে আগে তার পরিবারের ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে। তার পরিবারের কেউ, দূর সম্পর্কের কেউ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে ছিল, তাহলে তার চাকরি হয় না। কিন্তু সরকার একজন মানুষকে সামরিক বাহিনীর থেকে ধীরে-ধীরে বাহিনী প্রধান বাহিনীর দিলেন, তার পরিবারের খোঁজ নেননি। তার আপন ভাই জেলে আছে এটা জানতেন না?
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, এই সরকার মুখে ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বললেও তাতে বিশ্বাস করে না। তারা সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখল করে। এই বেনজীর আহমেদ হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেছে। এই হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দিলেও তিনি কিছুই করেন নাই।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।