ছবি: বাংলার চোখ
কখনও হিমেল বাতাস, কখনও সূর্যের লুকোচুরি, কখনও কনকনে শীত আবার সন্ধ্যার পর শিশির বিন্দু৷ এমন পরিবেশ বিরাজ করছে দেশের শেষ প্রান্তের জেলা পঞ্চগড়ে৷ এ জেলা থেকে হিমালয়ের অবস্থা খুব কাছাকাছি হওয়ার কারনে প্রতি বছরে এমন পরিবেশ বিরাজ করছে৷ এসময়ে আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনের ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের৷ গরম কাপড়ের অভাব না থাকলেও রয়েছে পেটার ক্ষুধা আর সংসারের চাপ৷ দিন দিন শীতের তীব্রতা বাড়ছে। ভোরে সূর্যের রোদ ছড়ালেও কমেনি হাড়কাপা শীতের দাপট। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডায় কাবু এখানকার মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ভোর ৬টায় এখানে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিলো। তবে সকাল ১১টার নাগাদ সারাদেশের তাপমাত্রার সাথে পর্যালোচনা করে দেশের মধ্যে তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা সর্বনিম্ন বলে জানান আবহাওয়া অফিস।
এর আগে, বুধবার সকাল ৯টায় এখানে রেকর্ড হয়েছিলো ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ এসব তথ্য জানান।
এদিকে, শীত উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে সকালেই কাজে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলের শ্রমজীবি মানুষদের। পাথর শ্রমিকরা নদীতে বরফ জলের মধ্যেই নেমে পড়েন কাজে। অপরদিকে, শীতের কারণে বাড়তে শুরু করে বিভিন্ন শীতজনিত রোগ ব্যাধি। চিকিৎকরা শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন।
স্থানীয়রা জানান, বিকেলের পর হিমেল বাতাসে সন্ধ্যার পর থেকে শীতের মাত্রাটা বেশি বাড়ে এখানে। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বৃদ্ধি পায় অধিকহারে। তবে সকাল ১০টা থেকেই তাপমাত্রা বেড়ে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকছে।