.
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা, তৈরি পোশাকসহ রপ্তানি পণ্যের শুল্ক ছাড় এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বের হওয়ার পর সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় দেশটির ঐকান্তিক সহায়তা চায় বাংলাদেশ। অন্যদিকে কারখানার যথাযথ নিরাপত্তা বিশেষত কর্মপরিবেশ, শিশুশ্রম বন্ধ এবং মেধাস্বত্ব বিষয়ক জটিলতার দ্রুত সমাধান চায় যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নির্বিঘ্ন করতেই পারস্পরিক এমন চাওয়া। বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তির (টিকফা) আজকের বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনার আভাস মিলেছে।
রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে সকাল থেকে শুরু হবে টিকফার সপ্তম কাউন্সিল বৈঠক। বাংলাদেশের পক্ষে এতে নেতৃত্ব দেবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। টিকফা বৈঠকে অংশ নিতে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির কার্যালয়ের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী ইউএসটিআর ক্রিস্টোফার উইলসের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল ঢাকায় এসে পৌঁছেছে।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ ২০শে সেপ্টেম্বর ‘ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট’ (টিকফা) কাউন্সিলের সপ্তম বৈঠকে বসার পরিকল্পনা করেছে। এতে উভয়পক্ষ সম্ভবত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ককে প্রভাবিত করে এমন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে। এরমধ্যে রয়েছে শ্রম ইস্যু, বিনিয়োগের পরিবেশ, ডিজিটাল বাণিজ্য, মেধা সম্পত্তি এবং কৃষি খাতে সহযোগিতা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন এবারের বৈঠকে রুটিন আলোচনার বাইরেও গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে কথা হবে। এক কর্মকর্তা বলেন, এজেন্ডায় না থাকলেও বাণিজ্য ও বিনিয়োগের আলোচনার সূত্র ধরে দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কথা তুলতে পারে যুক্তরাষ্ট্র, বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই বৈঠক প্রস্তুতি চূড়ান্ত হয়েছে।
এতে পররাষ্ট্র, শ্রম, কৃষি, তথ্য, তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা থাকছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের যেসব বৈঠক হয়েছে তার সব ক’টিতেই গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে।