.
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ সোমবার (১ জুলাই) থেকে বাড়ছে ওয়াসার পানির দাম। এবার ১০ শতাংশ বাড়িয়ে সাধারণ গ্রাহকদের জন্য এক হাজার লিটার পানির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ টাকা ৭০ পয়সা। বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য একই পরিমাণ পানির দাম ৪৬ টাকা ২০ পয়সা, আগে এই দাম ছিল ৪২ টাকা। এ নিয়ে গত ১৬ বছরে ১৬ বার পানির দাম বাড়িয়েছে ওয়াসা। পরিচালনা ব্যয় এবং বৈদেশিক ঋণের কিস্তি পরিশোধের টাকার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার পানির দাম সমন্বয় করতে হয়েছে বলে দাবি করেছে ঢাকা ওয়াসা। তবে গ্রাহকরা বলছেন, ওয়াসার উচিত আগে ঢাকা শহরে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা। তা না করে প্রতিবছর পানির দাম বাড়ানো বেমানান।
আইন অনুযায়ী, প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে পানির দাম বাড়াতে পারে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে পানির দাম বাড়ানোর বিষয়টি ঢাকা ওয়াসার বোর্ডসভায় অনুমোদন পেতে হয়। পানির দাম এর চেয়ে বেশি বাড়াতে হলে অনুমোদন নিতে হয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে। কিন্তু এবার তার কোনোটিই হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। ২০১৭ সাল থেকে টানা তিন বছর ৫ শতাংশ করে পানির দাম বাড়িয়েছে ঢাকা ওয়াসা।
২০২০ সালে সরকারের অনুমোদনের পর আবাসিক গ্রাহকদের জন্য পানির দাম ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। ২০২১ সালেও ঢাকা ওয়াসা আবাসিক ও বাণিজ্যিক পর্যায়ে পানির দাম বাড়িয়েছিল। সবশেষ ২০২২ সালের জুলাইয়ে ঢাকা ওয়াসা পানির দাম পাঁচ শতাংশ বাড়ায়। কিন্তু তখন ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়। বিধি প্রণয়ন না করে ওয়াসার পানির মূল্যবৃদ্ধি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেন হাইকোর্ট। এরপর পানির দাম বাড়ানোর বিষয়টি স্থগিত ছিল। এরপরও গত বছরের ১ আগস্ট ওয়াটার এটিএম বুথের পানির দাম বাড়িয়েছে ঢাকা ওয়াসা। সে সময় ওয়াটার এটিএম বুথের প্রতি লিটার পানির মূল্য ৭০ পয়সা ধার্য করা হয়। এর সঙ্গে যোগ হয় ১০ পয়সা ভ্যাট।
পানির মূল্য বৃদ্ধি, সংকট ও সমস্যা নিরসনের বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম শহীদ উদ্দিন বলেন, পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আইন অনুযায়ী নেওয়া হয়েছে। আর রাজধানীতে কোথাও পানির সমস্যা নেই। কারণ পানির উৎপাদন চাহিদার চেয়ে বেশি। বর্তমানে রাজধানীতে প্রতিদিন পানির চাহিদা ২৬০ কোটি লিটার। আর ওয়াসার উৎপাদন ক্ষমতা ২৭০ কোটি লিটার। কোথাও সমস্যা হলে সংশ্লিষ্টরা ওয়াসার হটলাইন ১৬১৬২ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। তখন ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’