Banglar Chokh | বাংলার চোখ

রাজনৈতিক দলগুলো ৫৩ বছরে সংস্কার করেননি কেন?

মিনিষ্ট্রি

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২:১৬, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ

রাজনৈতিক দলগুলো ৫৩ বছরে সংস্কার করেননি কেন?

ছবি:সংগৃহীত

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টা উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রশ্ন রেখে বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো বলছে সংস্কার ওনারাই ভালো করতে পারবেন। এটাইতো গণতান্ত্রিক দেশের কথা। তাহলে ওনারা করেননি কেন ৫৩ বছর? রাজনীতিবিদরা দেশ সংস্কার করলে অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতায় আসতে হতো না। এমনকি রাজনৈতিক দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিও করতো না।

 রাজধানীতে গুলশান সোসাইটি মসজিদের সামনে অনুষ্ঠিত শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধি ও গাড়িচালকদের পুনঃপ্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে যোগ দেন। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতার কারণেই আমাদের দায়িত্ব নিতে হয়েছে। সংস্কারের কাজ শেষ হলে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন। দেশের জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের আগে সংস্কারের দায়িত্ব দিয়েছে। পাশাপাশি ফ্যাসিবাদের বিচারের বিষয়টিও সামনে রয়েছে। তারা আমাদের কাছে বলছে যে, রোডম্যাপ দিতে হবে। তারা কী একটা রূপকল্প দিয়েছে? যে এই সংস্কারগুলো তারা কীভাবে সমাধান করবে? 
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের কেন কাজ ফেলে এসে দায়িত্ব নিতে হচ্ছে? আমরাতো আমাদের কাজ আনন্দের সঙ্গে, সফলতার সঙ্গে করছিলাম। উপদেষ্টা পরিষদে সকলেই যার যার কাজে সফল। তাহলে আমাদের কেন দায়িত্ব নিতে হলো? আমাদের একটা নির্বাচনের দিকে যেতেই হবে। এটাই হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের বড় প্রাধান্য। সে রকমভাবে সংস্কারও একটা বড় প্রাধান্য। সংস্কারের কথা আমরা বলিনি জনগণের কাছ থেকে উঠে এসেছে। আমাদের বিচারও করতে হবে। নির্বাচিত ছাড়া যারা দায়িত্বে এলো তারা কেন দায়িত্বে এলো এটাওতো একটা বিশ্লেষণের বিষয়। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ভারতকে আমরাও বারবার বলেছি যে, সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চাই। ভারতও বলেছে তারা সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চায়। বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানকে অস্বীকার করে পারস্পারিক সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ নেই। বিষয়টি যেহেতু তারা বিবেচনা করছে এবং স্বীকার করেছে। তারা এটাও বলছে অনেক রাজনৈতিক বক্তব্য তারা আর মানছে না। আমার মনে হয় সম্পর্ক উন্নয়নের একটা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, খেলার মাঠকে যাতে কোনো ধরনের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার না করা হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাই। পার্ক মানে পার্কই। খেলার মাঠ মানে খেলার মাঠই। সেখানে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এসে খেলতে পারবেন। সেখানে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করা দরকার নেই। যেমনটা ধানমণ্ডিতে করা হয়েছে। সেখানে সবক’টি প্রাইভেট ক্লাবকে দিয়ে দেয়া হয়েছে। এই ক্লাবগুলো মুখে বলে, সকলের অ্যাকসেস আছে। আদতে সকলের অ্যাকসেস সেখানে নেই। আর এগুলো টাকা দিয়ে অ্যাকসেস পাওয়া যাবে কেন? এগুলোতো সবার জন্য ফ্রি থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। উপদেষ্টা বলেন, পার্ক-খেলার মাঠে সবার প্রবেশাধিকার আছে। সেখানে কোনোরকমের অসামাজিক কাজ যাতে না ঘটে, সেটার জন্যও ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে সেখানে প্রবেশে বাধা দেয়া যাবে না। ঢাকার খালগুলোকে বাঁচানোর জন্য এনজিওগুলোর কাছ থেকে পরিকল্পনা চাওয়া হয়েছে। একটি ব্যবসাশ্রয় পরিকল্পনা এ মাসের মধ্যেই পাওয়া যাবে। সরকারের পক্ষে ধান লাগানো সম্ভব না, এটা কৃষককেই করতে হবে। সরকারের পক্ষে মাছ ধরা সম্ভব নয়, এটা জেলেকেই করতে হবে। পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, শব্দদূষণ আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এটি নিয়ন্ত্রণে সবার সহযোগিতা দরকার। গাড়ি চালকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভাবুন হর্ন নষ্ট, বাজাবেন না। গাড়ির গতি কমালে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও কমবে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়