.
কবি ফারহাত আহমেদ। পুলিশের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার ওই কর্মকর্তা সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সদা হাস্যজ্বল অত্যন্ত ভাল মনের অধিকারী ফারহাত আহমেদ পুলিশ বাহিনীতে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। চাকুরি জীবনে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অবসব সময়ে খাতা কলম হাতে নিয়ে বসে পড়েন টেবিলে। একাধারে লিখতে থাকেন তাঁর স্বরচিত কবিতা। বিভিন্ন বিষয়ের ওপর কবিতা লিখে সময় পার করেন তিনি। কবিতা প্রেমী স্বজ্জন ওই ব্যক্তি লেখালেখির সাথে জড়িত ২২ বছর ধরে। এ পর্যন্ত প্রকাশ হওয়া তার কবিতার বইয়ের সংখ্যা ১৮ টি।
২০০৫ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে অর্ধসত্য নামে প্রথম কবিতার বই প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে তিনি আর পিছনে ফিরে তাকাননি। এরপর একে একে প্রকাশ হয় ১৭ টি কবিতার বই। বইগুলো হলো বিশ,কৃষ্ণকাব্য, বাঘ বাঙালী, মানুষ, ক্যানভাস, মোমেন্টাম, ষড়যন্ত্র, হাটুজল নদী, ডাহুকী,অম্রজান, দাবায়ে রাখতে পারবা না, চাহিবামাত্র, চারলাইন/৭১, দুঃখপুর,তালকানা,রিমাইন্ডারস্ নামক কবিতার বই।
কত ডাকি তুমি আসো না' একটি অনন্য কবিতাগ্রন্থ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসহ বিভিন্ন বিষয় স্থান পেয়েছে তার লেখা প্রকাশিত কবিতার বইগুলোতে। সর্বশেষ চলতি একুশে বইমেলায় "কত ডাকি,তুমি আসো না" কবিতা গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে। নবী হোসেনের প্রচ্ছদে কবিতার বইটি প্রকাশক নীলসাধু প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এক রঙা এক ঘুড়ি থেকে প্রকাশ করেছেন। কবি বইটি উৎসর্গ করেছেন তারই প্রিয়জন ইউসুফ ভাইকে। অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদায় সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালন করা কবি ফারহাত আহমেদের দেশের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে। তারঁ পিতার নাম ফারুক উদ্দিন আহমেদ এবং মাতা ফাতেমা আহমেদ। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি সকলের বড়। তাঁর সহধর্মিণী শামস মাসরেকা একজন গৃহিণী। এক কন্যা সন্তানের জনক রেলওয়ে পুলিশ সুপার কবি ফারহাত আহমেদ ১৯৯৯ সালে ১৮তম বিসিএস ক্যাডারে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। এরপর থেকে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। কবি হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশের গর্ব তিনি। কবি ফারহাত আহমেদের জন্য অনেক শুভ কামনা।