.
বইমেলা কোনো জাত্রাপ্যান্ডেল না যে যার ইচ্ছা বিকিনি পরে উঠে ডান্স করবে । আর ফাত্রা লোকে কোমোর দুলানি দেখে টাকা ছুড়ে মারবে। এটি আমাদের সংস্কৃতির ,সভ্যতা ও বাঙালি জাতিসত্তার ধারক ও বাহক।এখান থেকেই আমরা পাবো আমাদের আগামির নজরুল, মাইকেল, রবীন্দ্রনাথ ,কামিনী রায় ?
১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসের ২১ তারিখ বাংলা ভাষার জন্য আত্মোৎসর্গের যে বীরত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে, সেই স্মৃতিকে অম্লান রাখতেই তো এই বইমেলার নামকরণ 'অমর একুশে গ্রন্থমেলা'।
মন চাইলো আর বউকে নিয়ে একটা বইলিখে মোস্তাকের মতে বউ নিয়ে বাজারে উঠলাম তাতেই আমি কবি বা সাহিত্যিক হয়ে গেলাম? এতো সহজ?
অনেকেই বলবেন যে মীর মশাররফ হোসেন ও তো তার বউকে নিয়ে লিখেছিলেন ")(১)আমার জীবনী"" (২)আমার জীবনীর জীবনী । আমি বলবো আরে গর্দভ আগে সেই লিখা গুলা পড় তারপরে বলিস।
সেই লিখা গুলা ছিলো আজকের মোস্তাকের লিখার মত না । মোস্তাকের বই না পড়লে যদি আমাকে ফাঁসি ও দেওয়া হয় আমি হাসতে হাসতে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে নিবো। তবুও এই নষ্ট ভ্রূণ থেকে জন্ম নেওয়া মোসস্তাক সাবরিনার লিখা পড়বো না ।
আচ্ছা আমাকে বলেন তো ৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে চিত্তরঞ্জন সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বর্ধমান হাউজ প্রাঙ্গণে বটতলায় এক টুকরো চটের ওপর ৩২টি বই সাজিয়ে যে বইমেলার গোড়াপত্তন করেছিলেন আজকেই এই বিক্রিত রুচি সম্পন্ন লিখার জন্য?
নাকি একটি রুচিশীল, সৃজনশীল, সভ্যতা ও সংস্কৃতির ধারক বাহক , মার্জিত ও আদর্শ সাহিত্য চর্চার ও সংরক্ষণের জন্য। এই জন্যই আমি পড়বো হেলাল হাফিজকে । কারণ কবি হেলাল হাফিজ তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ এত জনপ্রিয় হওয়ার ভয়ে আর কবিতার বই প্রকাশ করেন নি।
পাছে পরের কবিতাগুলো যদি জনপ্রিয়তা না পাই। এক স্বাক্ষাতকারে কবি নিজেও স্বীকার করছেন তিনি অল্প লিখে গল্প হয়েছেন।আমি পড়বো তার
---- (প্রেমিকাকে লেখা চিঠি)
স্নেহের কবিতা,
একবার ডাক দিয়ে দেখো আমি কতোটা কাঙাল ; কতো হুলস্থূল অনটন আজন্ম ভেতরে আমার । তুমি ডাক দিলে নষ্ট কষ্ট সব ঝেড়ে মুছে মানুষের আয়ত্বাধীন দ্রুততম গতিতে পৌছুবো, পরিণত প্রণয়ের উত্সমূল ছোঁব , পথে এতোটুকু দেরীও করবো না ।
তুমি ডাক দিলে সীমাহীন খাঁ খাঁ নিয়ে মরুদ্যান হবো, তুমি রাজি হলে যুগল আহ্লাদে এক মনোরম আশ্রম বানাবো । একবার আমন্ত্রণ পেলে সবকিছু ফেলে তোমার উদ্দেশ্যে দেবো উজাড় উড়াল, অভয়ারণ্য হবে কথা দিলে লোকালয়ে থাকবো না আর ।
আমরণ পাখি হয়ে যাবো, খাবো মৌনতা তোমার ।
আমি সাব্রিনার ''বন্দিনী'' না পড়ে পড়বো
মতিয়া চৌধুরী’র জেল জীবন নিয়ে লেখা ‘""দেয়াল দিয়ে ঘেরা""
""কারাগারের রোজনামচা"" বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেল জীবনী
আমি পড়বো দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ও এক মাত্র মহিলা নওয়াব(ফয়জুন্নেসা চৌধুরানীকে) ।
শিক্ষা, জ্ঞান , ব্যক্তিত্ব , দূরদর্শিতা , দানশীলতা , কোন দিক থেকেই তিনি পিছিয়ে ছিলেন না ।পিতার জমিদারি পরিচালনার সাথে সাথে তিনি নিজের অদম্য ইচ্ছায় শিক্ষিত হয়ে শিক্ষা, সমাজকল্যাণ ও সেবাব্রতে যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন তা ইতিহাসে বিরল ।
তিনিই ছিলেন নারীশিক্ষার পথিকৃৎ। কারণ ১৮৭৩ সালে বেগম রোকেয়া'র জন্মের ও সাত বছর পূর্বে নারী শিক্ষা প্রসারের মহৎ ব্রত নিয়ে তিনি মেয়েদের জন্য কুমিল্লায় একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং এটি ছিলো উপমহাদেশে বেসরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত মেয়েদের প্রাচীন স্কুলগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম শিক্ষাঙ্গন। অবাক করা ব্যাপার হলো তিনি পশ্চিমগাঁয়ে একটি অবৈতনিক মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
এই যোগ্য মাতার যোগ্য কন্যা বদরুন্নেসা মার আদর্শেই বড় হয়েছিলেন বলেই মায়ের নামে পশ্চিমগাঁওয়ে নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।এ এসব জানার পরে আমার জানতে ইচ্ছা করে ভুয়া সারটিফিকেট দেওয়া সাবরিনা্র মেয়ে আমাদের কি উপহার দিবেন।
আমার মনে প্রশ্ন জাগে মোসস্তাকের স্ত্রীর গর্ভজাত সন্তান আমাদের কি উপহার দিবেন । এসব প্রশ্ন মনে জাগতেই আমার ইচ্ছা করে যে সব স্টলে এই সাব রিনার লিখা বউ নিয়ে বই বিক্রি করা মোসস্তাকে বইয়ের দোকানের মদ্ধে রেখেই পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে আমি কাজি নজরুল , সেলিনা হোসেন, রবীন্দ্রনাথ, ও মাইকেল কে আমাদের অস্তিতে রাখার শেষ চেস্টা টা করি। কিন্তু আমি তো ভিরু ।
অন্ন চিন্তার শিকলে বন্দি আমার জীবন । আমি শুধু বই মেলা তে না যেয়েই এর প্রতিবাদ করবো।
অতিথি লেখক: মোঃ জুয়েল রানা,ব্যাংকিং এন্ড ইন্সুরেন্স , ঢাকা বিশ্ববিদ্দ্যালয়