ফাইল ছবি
রাত পোহালেই ভোট। এবারের বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লড়াই হবে নবীন ও প্রবীনের। তবে ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে অভিজ্ঞজনেরা। আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ। তাইতো ভোট নিয়ে অনাগ্রহ ভোটারদের। এবারের মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন হবে একটি ব্যতিক্রমী নির্বাচন। ইতোমধ্যে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রে কেন্দ্রে চলে গেছে সকল ভোটের সরঞ্জাম। পাশাপাশি নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী । অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছে। লড়াই হবে প্রবীণ ও নবীনের।
এবারে উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও পৌরসভা মিলিয়ে ১১১ টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। মোরেলগঞ্জ উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৪১০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩০ হাজার ৩১২ জন, মহিলা ১ লাখ ২৭ হাজার ৯৬ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ২ জন। যদিও ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারনে ৫০ টি কেন্দ্রের যাতায়াত ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। সময় সল্পতার কারনে এসক কেন্দ্র মেরামত করা সম্ভব হয়নি।
মোরেলগঞ্জে ২৯ মে ৩য়-ধাপে এ উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারনে স্থগিত করা হয়েছিল। যার কারনে এ উপজেলায় (রবিবার ৯ জুন) ভোট গ্রহণের ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও সুন্দরবন সাবসেক্টর স্টুডেন্ট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. লিয়াকত আলী খান (আনারস), উপজেলা যুব লীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজাম (দোয়াত কলম)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. রাসেল হাওলাদার (চশমা), সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. এনামুল হক রিপন (তালা) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আজমীন নাহার (কলস), বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা খানম (ফুটবল), মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্কাউট কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হোসনেআরা হাসি(হাঁস)।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদেও ২ জন প্রার্থী এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ পেলে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন বলে জানান। উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার গনেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এ নির্বাচনের গ্রহনের জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। যেসব কেন্দ্র বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা মেরামত করা হয়েছে। অপরদিকে দুর্গম এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে অতিরিক্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। । নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষে পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে ষ্ট্রাইকং ফোর্স ও ১৭জন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ইউনিয়নভিত্তিক ১৭টি ভ্রাম্যমান আদালত।