ছবি:সংগৃহীত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর আনন্দ মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জেলা শহরের কলেজপাড়া খান টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম আয়াশ আহমেদ ইজাজ (২৩)। তিনি শহরের কলেজপাড়া এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের স্নাতক উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ইজাজ ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ও সদ্য সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শাহাদৎ হোসেন শোভনের (আনারস প্রতীক) পক্ষে কাজ করেছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় জেলা শহরের মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে চেয়ারম্যান পদে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন শোভন (আনারস প্রতীক) বিজয়ী হওয়ার খবরে সমর্থকরা বিজয় মিছিলের জন্য জড়ো হন। সেসময় মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থলে আসেন জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি হাসান আল ফারাবী জয়, মামুন ও রুবেল। কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই ইজাজকে গুলি করে ফিল্মি স্টাইলে চলে যান ফারাবী। এসময় ইজাজ গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তখন তার বন্ধুরা তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন।
ঢাকা নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এলাকার কয়েকটি সূত্র জানায়, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল ফারাবী জয়ের সঙ্গে ছাত্রলীগের কর্মী ইজাজের পূর্ব বিরোধ ছিল। বুধবার সকালে ভোট কেন্দ্রে তাদের মধ্যে তর্ক হয়। সন্ধ্যায় বিজয় মিছিল চলাকালে আবার বিরোধ হলে জয় ইজাজকে গুলি করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আরিফুজ্জামান বলেন, ইজাজের মাথার বামপাশের কানের উপরে মারাত্মক ক্ষত রয়েছে। তার সঙ্গে আসা বন্ধুরা বলেছে, গুলি লেগেছে। সিটিস্ক্যান করলে বুঝতে পারবো গুলি কিনা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ছাত্রলীগের কর্মী আয়াশ আহমেদ ইজাজ গুলিবিদ্ধ হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আটকে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।