Banglar Chokh | বাংলার চোখ

‘ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতনের শিকার হওয়া মানুষগুলো প্রকৃত বিচার পেলো’

শিক্ষা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:২৭, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

সর্বশেষ

‘ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতনের শিকার হওয়া মানুষগুলো প্রকৃত বিচার পেলো’

ছবি:সংগৃহীত

ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে খুন হওয়া আবরার ফাহাদ ও তার ভাই আবরার ফাইয়াজ/ফেসবুক

২০১৯ সালে ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। তার খুনের দায়ে অভিযুক্তদের সংগঠনকে অবশেষে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সিদ্ধান্তে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন আবরার ফাহাদের ভাই আবরার ফাইয়াজ।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই খবর পাওয়ার পর ফেসবুকে এক প্রতিক্রিয়ায় আবরার ফাইয়াজ প্রথমেই সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ!’

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করায় এই সংগঠনের হাতে নির্যাতিতরা প্রথমবার প্রকৃত বিচার পেয়েছে উল্লেখ করে আবরার ফাইয়াজ আরও লিখেছেন, ‘আবরার ফাহাদের মতো দিনের পর দিন ছাত্রলীগের হাতে খুন, নির্যাতনের শিকার হওয়া মানুষগুলো প্রথম প্রকৃত বিচার পেলো। শত শত নিরীহ শিক্ষার্থীর যে পরিমাণ অভিশাপ এত বছরে জমেছিলো, তা বিফলে কিভাবে যাবে!’

এদিকে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে জারি করা প্রজ্ঞাপনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করিয়া বিগত ১৫ বৎসরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুম কেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজী, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল এবং এই সম্পর্কিত প্রামান্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হইয়াছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হইয়াছে।

এতে আরও বলা হয়, যেহেতু ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখ হইতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের হত্যা করেছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে এবং যেহেতু সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে যে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর করার ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপনে যোগ করা হয়, সরকার ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল এবং উক্ত আইনের তফসিল-২ এ ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসাবে তালিকাভুক্ত করল। ইহা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়