ছবি: বাংলার চোখ
নীলফামারীতে ভোটার হতে এসে হাতেনাতে আটক হয়েছে চার রোহিঙ্গা যুবক। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাদেরকে আটক করেন সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সামসুল আযম। এরপর রাতে আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সদর থানায় সোপর্দ করেন সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ওই চার যুবককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, কক্সবাজার উঁখিয়া উপজেলার জামতলী রোগিঙ্গা ক্যাম্প সাফ ব্লক-এফ/১৫ এর বাসিন্দা মো. আবুল হাসেমের ছেলে মো. আমজাদ (২৪), উঁখিয়া উপজেলার কুতুবপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প বøক-জি/২ এর বাসিন্দা মৃত করিমুল্লাহর ছেলে মো. আরাফাত নূর (২৪), উঁখিয়া বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ৮-ই ব্লক-বি/২৭ এর বাসিন্দা গুলো হোসাইনের ছেলে আনছ ওরপে আনোজ ওরফে আরোশ (২৪) এবং উঁখিয়া পূর্বদরহাবিল গ্রামের নাজির হোসেনের ছেলে হাফিজ উল্লাহ্ (২৫)। হাফিজ উল্লাহ্ রোহিঙ্গা নাগরিক হলেও সে বাংলাদেশে আশ্রিত হওয়ার পর এক বাংলাদেশী নারীকে বিয়ে করে উঁখিয়া পূর্বদরহাবিল গ্রামে বসবাস করছে।
নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সামসুল আযম জানান, ভোটার তালিকায় নাম অর্ন্তভ‚ক্তির জন্য সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে ওই চার যুবক সদর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আসে।
চার জন জেলা সদরের কচুকাটা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মহব্বত বাজিতপাড়া (ভোটার এলাকার কোর্ড নং-০৩১৬) গ্রামে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন পত্র জমা দেন। তাদের আবেদন পত্রে সংযুক্ত কাগজপত্র যাচাইবাছাই করে দেখা যায় জন্ম নিবন্ধন থেকে শুরু করে পিতা ও মাতা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ সংযুক্ত সকল কাগজপত্র ভ‚য়া এবং তারা প্রত্যেকেই চট্রগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলছিলেন। এসময় তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা নিজেদের রোহিঙ্গা নাগরিক এবং কক্সবাজা জেলার উঁখিয়া উপজেলার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করেন।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় পরিচায় পত্র পাওয়ার উদ্দেশ্যে তারা জাল কাগজপত্র তৈরী করে ভোটার তালিকায় নাম অর্ন্তভ‚ক্তি হতে চেয়েছিলেন। চট্রগ্রাম থেকে জনৈক নূর মোহাম্মদ ও নীলফামারী সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পঞ্চপুকুর গ্রামের সাদেকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে তারা নীলফামারী নির্বাচন কার্যালয়ে আসেন। আটককৃত ওই চার রোহিঙ্গা বিরুদ্ধে আমি বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে রাতেই সদর থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নীলফামারী সদর থানার পরির্দশক (ওসি) এম.আর সাঈদ বলেন, ওই চার রোহিঙ্গা যুবককের বিরুদ্ধে সোমবার রাতেই নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সামসুল আযম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে ওই চার রোহিঙ্গা যুবককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
