ছবি:সংগৃহীত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে এক যুবলীগের নেতাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের আউলিয়া বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে যান স্থানীয় বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। পরে তাদের তদবিরে আটক যুবলীগ নেতা সেলিম মৃধাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
সেলিম মৃধা পাহাড়পুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি। তবে তার দাবি, তিনি কীভাবে যুবলীগের কমিটিতে এসেছেন-তা জানেন না।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাশকতার একটি মামলায় সন্ধ্যায় যুবলীগ নেতা সেলিমকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে বিজয়নগর থানার আউলিয়া বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই পাহাড়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল মন্নাফ, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ইয়াহিয়া খান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল লতিফসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ওই পুলিশ ফাঁড়িতে যান সেলিমকে ছাড়ানোর জন্য। পরবর্তী রাত ১টার দিকে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাহাড়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক সময় সংবাদকে বলেন, ‘সেলিম মৃধা ইংরেজির শিক্ষক। অনেক শিক্ষার্থী তার কাছে পড়াশোনা করেন। ২০০ থেকে ৩০০ মানুষ তাকে ছাড়িয়ে আনতে গিয়েছিলেন। তাই আমাকেও যেতে হয়েছে।’
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী জানান, সেলিম মৃধার পক্ষে এলাকার লোকজন, বিএনপির নেতারা, শিক্ষক নেতারা এসে অনুরোধ করে বলেছেন তিনি ভালো মানুষ। কীভাবে যুবলীগের কমিটিতে তিনি এসেছেন, তা তিনি জানেন না। তার ফেসবুক ঘেটে দেখা গেছে, তেমন কোনো উস্কানিমূলক পোস্ট বা আওয়ামী লীগের পক্ষে কোনো লেখালেখি নেই। কোনো অভিযোগ না থাকায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।