Banglar Chokh | বাংলার চোখ

শেরপুরের চাঞ্চল্যকর নার্গিস হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার

অপরাধ

শাহরিয়ার মিল্টন ,শেরপুর থেকে

প্রকাশিত: ২২:১৮, ৪ জুলাই ২০২৪

সর্বশেষ

শেরপুরের চাঞ্চল্যকর নার্গিস হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার

.

শেরপুরে প্রতিবেশী গৃহকর্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি মো. আলিমুল ইসলাম (২২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  বুধবার (৩ জুলাই ) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই ) বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওই তথ্য জানান শেরপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম। গ্রেফতারকৃত আলিমুল সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের মো. সামিদুল হকের ছেলে। একইদিন বিকেলে আসামি আলিমুলকে আদালতে সোপর্দ করা হলে সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
শেরপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম জানায়, গত ২৭ জুন সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের মৃত নওশের আলীর স্ত্রী নার্গিস বেগম ব্যাংক থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা উত্তোলন করে নিজঘরের ট্রাংকে রাখেন। বিষয়টি স্থানীয় ছিঁচকে চোর আলিমুল ইসলাম টের পেয়ে ওই টাকা চুরির উদ্দেশ্যে একইদিন মধ্যরাতে নার্গিস বেগমের বসতঘরের তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে এবং চুরির চেষ্টা করে। তালা ভাঙার শব্দ শুনে নার্গিস বেগম টর্চলাইট নিয়ে বের হয়ে আলিমুলকে চিনে ফেলায় সে তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে নার্গিস বেগমকে পেটে ও গলায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ জুন রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান নার্গিস বেগম। ওই ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. রাকিব হোসেন প্রকাশ বাদী হয়ে আলিমুলসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে আলিমুল নিজেকে বাঁচাতে গাজীপুর, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকে।
শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আকরামুল হোসেন, পিপিএমের দিক-নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই খন্দকার সালেহ আবু নাঈম ও এলআইসি শাখার এসআই মোহাম্মদ আশিকুর রহমানসহ শেরপুর জেলার একটি চৌকস আভিযানিক টিম তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় আলিমুলকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে চুরির চেষ্টাকালে নার্গিস বেগম তাকে চিনে ফেলায় ছুরিকাঘাতের কথা স্বীকার করে।
প্রেস ব্রিফিংকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাইদুর রহমান, ডিআইও-১ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম, ডিবির পুলিশ পরিদর্শক নাঈম হাসান মো. নাহিদ, প্রেসক্লাব সভাপতি দেবাশীষ ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিনসহ জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়