ফাইল ছবি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিগত সরকারের আমলে দায়েরকৃত রাষ্ট্রদ্রোহ ও নাশকতাসহ ১১টি মামলার কার্যক্রম বাতিল করে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। গতকাল এসব মামলা বাতিল চেয়ে দায়েরকৃত আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র এডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী ও এডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল। আদালতের রায়ের পর সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এইসব মামলা ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ভিত্তিহীন, বানোয়াট, হয়রানিমূলক এবং বিগত সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য। তিনি বলেন, একটি মামলা করা হয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে। এই ধরনের মামলা দায়ের করতে হলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হয়। মিথ্যা ও বানোয়াট এ মামলা দায়েরে আইন অনুসরণ না করে খালেদা জিয়াকে আসামি করে হয়রানি করা হয়েছে।
এ ছাড়াও নাশকতার অভিযোগে করা অন্যান্য মামলায়ও মিথ্যা ও হয়রানিমূলক তা আমরা আদালতে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। খালেদা জিয়াকে তার নিজ বাড়ি এবং রাজনৈতিক কার্যালয়ে বালির ট্রাক দিয়ে বন্দি রেখেও বিভিন্ন মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত উভয়পক্ষকে শুনে মামলাগুলো বাতিল করে আজ রায় দিয়েছেন। ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, মিথ্যা বানোয়াট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা হওয়া সত্ত্বেও আদালতের কাছে আমরা ইতিপূর্বে ন্যায়বিচার পাইনি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ই আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর দেশের আদালতে বিচার প্রার্থীদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ খুলেছে।