নিজস্ব ছবি
খুলনার পাইকগাছায় কপিলমুনি ডায়বেটিস সেন্টার ও চলার সাথীর যৌথ উদ্যোগে বিশ্ব ডায়বেটিস দিবস উদযাপনে প্রস্তুতিমূলক স্বাস্থ্য সচেতনতা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আগামী ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়বেটিস দিবস এবার ডায়বেটিস দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো "ডায়বেটিসের ঝুঁকি সম্পর্কে জানুন-ঝুঁকি প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন"। বিশ্ব ডায়বেটিস দিবসের ২দিন আগে রবিবার কপিলমুনি ডায়বেটিস সেন্টার ও স্বাস্থ সচেতনতামূলক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কপিলমুনি চলার সাথী এর যৌথ উদ্দ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়।
সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত কপিলমুনি বাজারের কপোতাক্ষ নদের বারুনী স্নান ঘাটে ডায়বেটিসের জটিলতা ও তার নিরাসনের করনীয় সংক্রান্ত মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে র্যালী এবং শারীরিক ব্যায়াম চর্চা বিষয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা কাস্ট এর সহেযোগীতায় চলার সাথী প্রতিষ্ঠতা শেখ আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে মুক্ত আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসাবে আলোচনা করেন কপিলমুনি ডায়বেটিস সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. মোহা: শেখ শহিদ উল্লাহ। এরপরে কপিলমুনি ডায়াবেটিস সেন্টারে ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ রোগীদের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এ সময় দুই শতাধিক বিভিন্ন বয়ষের রোগী ফ্রি চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন।
আরোও উপস্থিত ছিলেন, চলার সাথী সংগঠনের সম্পাদক রেজাউল করিম মহব্বত, হেদায়েত আলী টুকু, দেবাশিষ দে, হিমাদ্রী শেখর দে, উপাধ্যক্ষ ত্রীদিপ মন্ডল, শ্যামল আঢ্য, শংকর দে, বাবুলাল, দিলিপ হালদার ও শফিউল ইসলাম প্রমুখ।
ডা. শহীদ উল্লাহ বলেন, ডায়াবেটিস এর জটিলতা কমাতে দৈনন্দিন স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপনে অভ্যস্থ হতে হবে। ডায়াবেটিসের জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে হলে ডায়াবেটিস রোগীকে নিজে সচেতন হতে হবে এবং তার পরিবারকেও এ রোগ সম্পর্কে সাম্যক জ্ঞান থাকতে হবে। ডায়াবেটিসের মহামারী রোধ করতে হলে এর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নেই।