ছবি: বাংলার চোখ
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় ৫ ফুট দৈর্ঘের একটি বার্মিজ পাইথন অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ঝালিংগীগছ গ্রাম এলাকা থেকে ক্ষত অবস্থায় সাপটি স্থানীয়দের কাছ থেকে উদ্ধার করে পঞ্চগড়ের বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী ফিরোজ আল সাবাহ। অজগর সাপটি উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে জনসাধারণের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যায়।
এদিকে খবর পেয়ে ছুটে যাওয়া বনবিভাগের কাছে সাপটি হস্তান্তর করেন তিনি।
রাতে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পঞ্চগড়ের বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী ফিরোজ আল সাবাহ।
জানা যায়, ভজনপুর ঝালিংগীগছ গ্রামে স্থানীয়রা একটি বিল থেকে উঠে আসা অজগর সাপটিকে দেখতে পায়। পরে সাপটি বস্তাবন্দি করে ফিরোজ আল সাবাহসহ বন বিভাগকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে ফিরোজ আল সাবাহ ও বন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে সাপটি উদ্ধার করে। প্লাষ্টিকের অধিক ব্যবহার ও পরিবেশ দূর্ষণের কারণে সাপটির শরীরে প্লাষ্টিকের রিং আটকে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে।
তবে উদ্ধারের পর পঞ্চগড় বন বিভাগের কার্যালয়ে নেয়া সাপটিকে একই দিন রাতে ওয়াল্ড লাইফ এন্ড স্নেক রেসকিউ এর সভাপতি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও উদ্ধারকারী শহিদুল ইসলামের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
ফিরোজ আল সাবাহ বলেন, ব্যবহৃত প্লাষ্টিক যেখানে সেখানে ফালানোর কারণে পুরো জীববৈচিত্রের উপর প্রভাব পড়ছে। যদি প্লাষ্টিক দূর্ষণ না থাকতো তবে সাপটি অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা যেতো। তবে সাপটির শরীরে ক্ষত থাকলেও সাপটি জীবিত রয়েছে।
পঞ্চগড় বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মধুসূধন বর্মন বলেন, সাপটির শরীরে দীর্ঘদিন ধরে প্লাষ্টিক আটকে থাকায় ক্ষত হয়ে পঁচন ধরে। ৫ কেজি ওজনের এই সাপটির দৈর্ঘ প্রায় ৫ ফুট। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও উদ্ধারকারী শহিদুল ইসলামের মাধ্যমে আমরা চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছি সাপটির। উদ্ধার হওয়া সাপটিকে শনিবার রংপুরের জাতীয় উদ্দানে পাঠানো হবে।
আরো জানা গেছে, গত দুই মাসের ব্যবধানে পঞ্চগড় সদর ও তেঁতুলিয়া উপজেলায় তিন বার্মিজ পাইথন অজগর সাপ দেখা দিলেও স্থানীয়দের সহায়তায় দুইটিকে উদ্ধার করেছে পঞ্চগড় বন বিভাগ। তবে উদ্ধার হওয়া সাপগুলো ভারত থেকে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।