নিজস্ব ছবি
ঢাকের বাদ্যে মেতে উঠবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় হাজারো সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। দুষ্টের বিনাশ ও সৃষ্টের পালন করতে বছর ঘুরে আবারো ‘মা দূর্গা’ এসেছেন। আগামি ২০ অক্টোবর শুরু হবে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। এ উপলক্ষে উপজেলার পাড়া মহল্লাসহ গ্রামের সকল মন্ডপে মন্ডপে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে প্রতিমার গায়ে উঠেছে রং। মন্দির ক্যাম্পাসে ডেকরেটরের লোকজন পুরোদমে চালাচ্ছে বিভিন্ন রংয়ের আলোক সজ্জার কাজ। এদিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে প্রতিটি পুজা মন্ডপে থাকবে পুলিশের নজরদারি সহ সিসি ক্যামেরা।
জানা গেছে, পৌরশহরের চারটি এবং উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১৪ টি মন্ডপে পুজা উদযাপিত হচ্ছে। এবছর আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা মন্দির কমিটির সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখছে। ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী পুজা মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। চলবে টানা পাচদিন। এছাড়া বিভিন্ন মন্দিরে আয়োজন করা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানর।
প্রতিমা তৈরির কারিগর প্রানকৃষ্ণ সাহা জানান, প্রতিমার গায়ে রংয়ের কাজ শুরু করেছি। আশা করছি ঠিক সময় শেষ করতে পারবো।
পৌর শহরের জগন্নাথ আখড়া নাট মন্দিরের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি কমল কৃষ্ণ সাহা গোসাই বাংলার চোখকে বলেন, পুজার প্রস্তুতি প্রায়ই শেষের পথে। জাঁকজমকপূর্ন পরিবেশে এবারো শারদীয় দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বপন হাওলাদার জানান, ইতোমেধ্যে জেলা প্রশাসন এবং পুজা কমিটির সভা হয়েছে। এছাড়া বেশিরভাগ মন্ডপের দূর্গাপুজা উদযাপনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়।
কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহম্মদ বাংলার চোখকে জানান, প্রতিটা মন্ডপে পুজা চলাকালীন সময় আনসার সদস্য এবং পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি পুলিশের টহল টিম মাঠে কাজ করবে। এছাড়া প্রতিটি মন্ডপই সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। আশা করছি শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে দূর্গাপুজা শেষ হবে।
