Banglar Chokh | বাংলার চোখ

নতুন নীতিমালায় কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ

সারাবাংলা

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০২:২৬, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ

নতুন নীতিমালায় কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ

ছবি:সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পদে পদোন্নতিতে অভিজ্ঞতার সময় বাড়ানোয় তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বিদ্যমান নীতিমালায় তৃতীয় শ্রেণির ৭ টি গ্রেডের কর্মচারীদের পদোন্নতির জন্য অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় ৫, ৭ এবং ১০ বছর। ৪০ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হয় বিভাগীয় পরীক্ষায়। ১১ থেকে ১৫ তম গ্রেড পর্যন্ত কর্মচারীদের পদোন্নতির জন্য অভিজ্ঞতা লাগে ৫ বছর, ১৬ তম গ্রেডের পদোন্নতির জন্য ৭ বছর ১৭ তম গ্রেডের জন্য ১০ বছরের অভিজ্ঞতা লাগে। একই সঙ্গে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। ভ্যাট কমিশনারেট ও কাস্টম হাউজগুলোর চূড়ান্ত সাংগঠনিক কাঠামোতে কর্মচারী পদোন্নতির ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার সময় বাড়ানোর পাশাপাশি চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারীদের পদোন্নতির বিধান যুক্ত করেছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে ১২ তম গ্রেডের কর্মচারীদের পদোন্নতি পেতে লাগবে ৬ বছরের অভিজ্ঞতা। ১৩ ও ১৪ তম গ্রেডের জন্য ৮ বছর, ১৫-১৬ তম গ্রেডের জন্য ১২ বছর এবং ১৭ ও ১৮ তম গ্রেডের কর্মচারীদের পদোন্নতি পেতে হলে ১৬ বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। একই সঙ্গে বিভাগীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে ৫০ নম্বর পেয়ে। নতুন বিধি চালু হলে সাড়ে ৩ হাজার কর্মচারী (মিনিস্ট্রিয়াল, উপপরিদর্শক ও সিপাই) পদোন্নতি বঞ্চিত  হবেন। এতে কর্মচারীদের কাজের প্রতি মনোযোগ কমে যাবে। যার প্রভাব পড়বে রাজস্ব আদায়ে। 
কর্মচারীরা বলছেন, শুল্ক, আবগারী ও ভ্যাট অনুবিভাগের তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের পদ, পদোন্নতি ও দাপ্তরিক বৈষম্য সৃষ্টি করে দেশের মূল চালিকাশক্তি অর্থনীতি তথা রাজস্ব আদায় ব্যহত করার অপচেষ্টা করছে একটি কুচক্রী মহল। 
এবিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা। তারা বলছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের কিছু ঘণিষ্ঠ সহচর এখনো বিদ্যমান রয়েছে, তারা দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ রাজস্ব খাতকে বিশৃঙ্খল এবং অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। যার ফলশ্রতিতে তারা কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের কর্মচারীদের পদোন্নতির সময়সীমা বেআইনি ভাবে বাড়ানোর পায়তারা করছে যা নিয়োগবিধির সম্পূর্ণ পরিপন্থী, যার প্রেক্ষিতে কর্মচারীরা সেটা মেনে না নিয়ে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়। কিন্তু বাংলাদেশ কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের প্রায় সাড়ে তিন হাজার কর্মচারীবৃন্দ দেশের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ তারা কোনমতেই আন্দোলন অথবা কর্মবিরতিতে গিয়ে দেশের রাজস্বখাতকে অস্থিতিশীল করতে চায় না। এমতবস্থায় এ বিষয়ে কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সারা বাংলাদেশের  কর্মচারীবৃন্দ বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছে অন্যথায় তারা কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়