Banglar Chokh | বাংলার চোখ

ত্রাণের চাউল আত্মসাতের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

সারাবাংলা

মহানন্দ অথিধকারী মিন্টু, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০০:৫৩, ৩০ জুন ২০২৪

সর্বশেষ

ত্রাণের চাউল আত্মসাতের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

নিজস্ব ছবি

খুলনার পাইকগাছায় ১০নং গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আব্দুস সালাম ওরফে কেরু এর বিরুদ্ধে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায়ও দুঃস্থদের বরাদ্দকৃত জিআর ৫ মেঃ টন চাউল আত্বসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানযায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে সর্বমোট ১২ মেঃ টন চাউল বরাদ্দ হয়। যা গত ৩ জুন পর্যাক্রমে ২ মেঃ টন ও ৫ মেঃ টন এবং সর্বশেষ ১৩ জুন ৫ মেঃ টন চাউল অত্র ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম আব্দুস সালাম উত্তোলন করেন এবং উক্ত চাউল ঈদের আগেই বিতরণ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু চেয়ারম্যান স্বজনপ্রীতি দেখিয়ে নিজের পরিচিত লোকদের মাঝে ৫ মেঃ টন ও স্থানীয় এমপির নির্দেশনায় ২ মেঃ টন চাউল বিতরণ করেছেন। কিন্তু বাকি ৫ মেঃ টন চাউল কোথায় রেখেছেন তার কোন হিসাব নেই। সর্বশেষ গত ২০ জুন সকল দপ্তরে খোজাখুজির পরও কোন তথ্য না পাওয়ায় রেমালে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের মাঝে বিতরণের ত্রাণের আত্বসাতকৃত উক্ত ৫ মেঃ টন চাউল ফেরত পেতে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উক্ত ইউনিয়নের বর্তমান ৯ জন ইউপি সদস্য। ৬ নং ওার্ডের ইউপি সদস্য অচিন্ত্য সরদার বলেন, গত ইউপি চেয়ারম্যানের সময় আমরা সম্মানের সহিত জনগণের সেবা করে এসেছি। কিন্তু বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম কেরু চেয়ারম্যান হওয়ার পরে মান-সম্মান নিয়ে জনগণের সেবা করায় দায় হয়ে পড়েছে। তিনি আরো বলেন বর্তমান চেয়ারম্যারে সময়ে আমরা ইউনিয়ন পরিষদে যেয়ে সম্মানের সহিত একটু বসতেও পারি না। এবং চেয়ারম্যান বলেন আপনাদের মত মেম্বারদের আমার কোন বালেও কাজে লাগে না বলে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন। চাউল আত্মসাৎ এর বিষয়ে সরেজমিনে ইউনিয়ন পরিষদে যেয়ে দেখা যায় গত ২০ জুন তিনি আরো একটা ডিও লেটার দিয়ে ৪ মেঃ টন ৫০০ কেজি চাউল উঠিয়ে এনেছেন যেটা কবিখা চাউল এবং সেই চাউল ইউনিয়ন পরিষদে আনা হয় গত ২৩ জুন। সেই চাউল এখন চেয়ারম্যান ত্রাণের চাউল বলে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত। যা একজন জনপ্রতিনিধির নিকট হতে মোটেও কাম্য নয় বলে বিশিষ্ঠজনের অভিমত। পাইকগাছা গোডাউন ইনচার্জ মাহবুবর রহমান এর ভাষ্যমতে ২০ জুন ডিউ লেটার দিয়ে যে চাউল চেয়ারম্যান সাহেব নিয়ে গেছেন ওটা কাবিখার চাউল। এ বিষয়ে গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আব্দুস সালাম সাংবাদিকদের নিকট বলেন, তিনি উক্ত চাউল বিক্রি করে দিয়েছেন। উক্ত চাউল আত্মসাৎ এর বিষয়ে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন মুঠোফোনে বলেন, চাউল আত্মসাৎ এর বিষয়ে একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত চলমান শেষ হলে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারব।
 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়