ছবি:সংগৃহীত
কারিগরি ত্রুটি সারিয়ে গ্যাস সরবরাহ শুরুর কথা বলা হলেও দ্বিতীয় দিনের মতো গ্যাসের জন্য হাহাকার চট্টগ্রামে। প্রায় ৩২ ঘণ্টা পরও গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি বন্দর নগরীতে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে সিএনজি স্টেশনগুলো থেকে কিছু কিছু যানবাহনে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। তবে আধা ঘণ্টার মধ্যে তা আবার বন্ধ করেও দেয়া হয়। একই অবস্থা আবাসিক এলাকার বাসা বাড়িতেও। এর আগে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সারাদিন বন্দরনগরীতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকে।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকালে গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে সিএনজি স্টেশনগুলোতে গ্যাস দেয়া শুরু হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর গ্যাসের চাপ কমে গেলে আবারও বন্ধ করে দেয়। এরপর গ্যাসের চাপ বাড়িয়ে ফের সরবরাহ শুরু করা হয়। এভাবেই চলছে গ্যাস নিয়ে বন্দর নগরীতে দুর্ভোগ। এর মধ্যে গ্যাস না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ করে অটোরিকশা চালকরা।
কারিগরি ত্রুটি সারিয়ে একটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। চাহিদার অর্ধেকও গ্যাস না পাওয়ায় এবং চাপ মাত্রাতিরিক্ত কম থাকায় অধিকাংশ আবাসিক এলাকায় জ্বলছে না চুলা। এতে দুর্ভোগ এখনও পিছু ছাড়েনি বাসিন্দাদের। ২০১৮ সালের পর থেকে চট্টগ্রামের গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি নির্ভর আমদানি এলএনজির ওপর। মহেশখালীর দুটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ হয়ে থাকে।
গত অক্টোবরে একটি টার্মিনাল নিয়মিত সংস্কার কাজের জন্য সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। এরপর একটি টার্মিনাল থেকে সরবরাহ ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে আসে। গত ১৭ জানুয়ারি সিঙ্গাপুর থেকে টার্মিনালটি ফেরত আসে এবং অপরটি সিঙ্গাপুরে নেয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়। ফেরত আসা টার্মিনালটি পুনরায় স্থাপনের সময় কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়। এর ফলে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত থেকে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
তবে কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু সাকলায়েন বলেন, ‘চট্টগ্রামের গ্রাহকরা গ্যাস পেতে শুরু করেছেন। দুপুরের পরেই স্বাভাবিক চাপে গ্যাস সরবরাহ শুরু হতে পারে।’
পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, দেশে প্রতিদিন গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। দুই মাস ধরে দিনে সরবরাহ করা হচ্ছিল ২৫০ কোটি ঘনফুটের কম। এর মধ্যে এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ হওয়ায় সরবরাহ নেমে আসে ২০০ কোটি ঘনফুটে।